হজ্জ ও উমরা

হজ্জ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো কোন কাজের ব্যাপারে দৃঢ় ইচ্ছা বা সংকল্প করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষা অনুযায়ী হজ্জের মাসে নির্দিষ্ট দিন ও সময়ে পবিত্র কাবা পরিদর্শনসহ নির্ধারিত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করাকে হজ্জ বলে।

উমরার অর্থ পরিদর্শন বা সাক্ষাৎ। হজ্জ অনুষ্ঠানের কয়েকটি দিন ব্যতীত (৮-১৩ জিলহজ্জ) নির্ধারিত নিয়মে কাবা পরিদর্শন করাকে উমরা বলে।

হজ্জ সুনির্দিষ্ট সময়ে বছরে একবারই পালন করতে হয়। উমরা বছরের যে কোন সময়ে একাধিকবার পালন করা যায়।

হজ্জের কার্যাবলিতে ইহরাম, তওয়াফ, সাঈ ও মাথা মুন্ডান ছাড়াও মিনা, আরাফা ও মুযদালিফায় অবস্থান এবং জামারায় পাথর নিক্ষেপ ও কুরবানি অন্তর্ভুক্ত থাকে।

উমরার কার্যাবলি ইহরাম, তওয়াফ, সাঈ ও মাথা মু-ানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ।

হজ্জ ও উমরা সামর্থবানদের জন্যে জীবনে একবার পালন করা আবশ্যক।

হজ্জ হলো ইসলামের পাঁচটি মৌলিক স্তম্ভের একটি। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে সূরা বাকারা ১৯৭ আয়াতে আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ ও উমরা পূর্ণ করতে এবং সূরা আল-ইমরানের ৯৬-৯৭ আয়াতের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে সামর্থবানদেরকে হজ্জ পালনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং এ নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রচ- ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। হজ্জ পালন না করে মানুষ আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারে না বরং হজ্জের মাধ্যমে মহান আল্লাহ মানুষের জন্য অগণিত কল্যাণ দান করেন।

পবিত্র কুরআনে হজ্জ সম্পর্কিত যে সব আয়াত রয়েছে তা এবং রসূলুল্লাহ স. এর হাদিসসমূহ বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় যে, হজ্জের মাধ্যমে মানুষ:

আল্লাহ তায়ালার অবিস্মরণীয় নিদর্শনসমূহ অবলোকন করে।
আল্লাহর পছন্দনীয় স্থান ও সময়ে ব্যাপকভাবে তাঁর স্মরণ ও প্রশংসা করে।
আল্লাহর ক্ষমা লাভ ও পাপ থেকে মুক্তির সর্বোচ্চ সুযোগ লাভ করে।
মানবিক দুর্বলতা ও আচার-আচরণের দোষ-ক্রটি সংশোধনের সুযোগ লাভ করে।
জীবনের সকল পর্যায়ে সাফল্যের দিক-নির্দেশনা, কল্যাণ ও বরকত লাভ করে।
চিন্তা চেতনা ও কর্মকা-কে পরিশুদ্ধ করার সুবর্ণ সুযোগ লাভ করে।