কুরআন পড়ুন

আপনার কি বুকটা ভারী ভারী লাগছে?
.
মনে হচ্ছে অন্তরে কিছু একটা চেপে বসে আছে?
.
ঈমান দূর্বল হয়ে পড়েছে?
.
অলস সময় কাটছে?
.
খুব দুশ্চিন্তায় আছেন?
.
কাজে-কর্মে, পড়াশোনায় মন বসাতে পারছেন না?
.
সদ্য কবর দেয়া হারাম সম্পর্কের জন্য খারাপ লাগছে?
.
আপনার জন্য সমাধান আছে।
সে সমাধান কী?
.

  • কুরআন!!
    .
    আপনি কুরআন খুলুন।
    পড়তে বসে যান।
    .
    প্রথমে হয়তো বসতে ইচ্ছে করবে না।
    কিন্তু কোনোরকম অবাধ্য মনটাকে শায়েস্তা করে পড়া শুরু করলেই আপনি হারিয়ে যাবেন।
    মনে হবে ধূ ধূ মরুর বুকে যেন এক পশলা বৃষ্টি!
    আপনি পড়তেই থাকবেন, পড়তেই থাকবেন, রবের কালামের মধ্যে ডুবে যাবেন, তন্ময়তা পেয়ে বসবে আপনাকে!
    অন্তর সিক্ত হবে, মন প্রশান্ত হবে, চোখ বেয়ে তপ্ত অশ্রু প্রবাহিত হতে।
    এই কুরআন আমাদের অন্তরের খাদ্য, আমাদের আত্মার খোরাক।
    আমাদের সব সমস্যার সমাধান এই কুরআন।
    .
    আজ আফসোস হয়!
    কুরআনকে এখন শেলফে মর্যাদার সাথে তুলে রাখা হয়েছে।
    এর উপর ধূলোর আস্তরণ পড়ছে।
    কুরআন খুলে পড়ার সময় আমাদের নেই।
    .
    কুরআনের সাথে আপনার সম্পর্ক যত ঘনিষ্ঠ আপনার জীবন তত নির্মল।
    কুরআন থেকে আপনি যত দূরে থাকবেন আপনার জীবন তত হতাশাপূর্ণ হবে। জীবনে একের পর এক সমস্যা দেখা দিবে।
    প্রাচূর্যের মধ্যে থেকেও অন্তরে সুখ অনুভূত হবে না।
    মনে হবে কিসের যেন একটা অভাব!
    .
    এই অভাব আল্লাহকে ভুলে থাকার। এই অভাব আল্লাহর হুকুম মেনে না চলার।
    গোনাহের ভারে কাল হয়ে যাওয়া অন্তরে কখনো সুখ থাকবে না।
    .
    আসুন এই কালো অন্তরকে তাওবা দিয়ে পরিষ্কার করি এবং রবের কালাম দিয়ে সুশোভিত করি।
    .
    কুরআন পড়ুন, কুরআন বুঝুন, কুরআনের উপর আমল করুন।
    এই কিতাব ছেড়ে আমরা কোথায় যাবো?
    রবের কালাম ছাড়া আমরা কিসে শান্তি পাবো?
    .
    ﺃَﻥْ ﺗَﺠْﻌَﻞَ ﺍﻟﻘُﺮْﺁﻥَ ﺭَﺑِﻴﻊَ ﻗَﻠْﺒِﻲ، ﻭَﻧُﻮﺭَ ﺻَﺪْﺭِﻱ، ﻭَﺟَﻼَﺀَ
    ﺣُﺰْﻧِﻲ، ﻭَﺫَﻫَﺎﺏَ ﻫَﻤِّﻲ
    .
    উচ্চারণঃ “আন্তাজ‘আলাল কুরআ-না রবী‘আ ক্বালবী, ওয়া নূরা সাদ্রী, ওয়া জালা’আ হুযনী ওয়া যাহা-বা হাম্মী।”
    .
    “আপনি কুরআনকে বানিয়ে দিন আমার হৃদয়ের প্রশান্তি, আমার বক্ষের জ্যোতি, আমার দুঃখের অপসারণকারী এবং দুশ্চিন্তা দূরকারী।”
    :
    @Dawah পেইজ থেকে